১১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৮:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 118

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিমের ফলন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্য বছর এখানে গড়ে ১৫০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হলেও এবার ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে শিমের বাম্পার ফলনের সঙ্গে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক। এখানে উৎপাদিত শিম দেশের চাহিদা পূরণ করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডকে বলা হয় সবজি ভান্ডার। এখানে সারাবছর নানা রকম সবজি উৎপাদন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় শিম। কার্তিকোটা, কার্ত্তিকবাটা, বাটা, পুটি, ছুরি, লইট্টা ও রূপবান প্রজাতির শিম চাষ হয়। রূপবান হলো গ্রীষ্মকালীন শিম। যা বিগত কয়েক বছর ধরে চাষ হচ্ছে। অন্য শিম শীত মৌসুমেই হয়ে থাকে।

উপজেলার অন্যতম শিম চাষ এলাকা সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, পৌরসদর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া পরিদর্শনকালে কথা হয় চাষিদের সঙ্গে। বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল গ্রামের কৃষক মো. জামাল উল্লাহ, মুকসেদ আহমদ, আনোয়ার হোসেন ও মানিকরা শিম চাষ করেন।

কৃষক জামাল উল্লাহ কার্ত্তিকোটা শিম চাষ করেছেন ১০০ শতাংশ জমিতে। এতে বীজ, সার, কীটনাশক, কঞ্চি, শ্রমিক মজুরি বাবদ খরচ হয় আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা। গত ১ মাসে তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরও লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এবার তেমন কোনো রোগবালাই হয়নি। সমস্যা দেখা গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পিপাস কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলে দেন, কী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তার কথামতো এসব ব্যবহার করে উপকৃত এবং লাভবান হয়েছি।’

৪২ শতক জমিতে কার্ত্তিকবাটা শিম চাষ করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। দেরিতে চাষ করেছি। তাই বিক্রি শুরু হয়েছে অল্প দিন আগে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আরও ৬০-৭০ হাজার টাকার বিক্রি হবে।’

Tag :

Leave a Reply

বেনাপোলের লাইট পোস্টের খাম্বায় ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।

২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

আপডেট সময়: ০৮:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিমের ফলন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্য বছর এখানে গড়ে ১৫০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হলেও এবার ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে শিমের বাম্পার ফলনের সঙ্গে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক। এখানে উৎপাদিত শিম দেশের চাহিদা পূরণ করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডকে বলা হয় সবজি ভান্ডার। এখানে সারাবছর নানা রকম সবজি উৎপাদন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় শিম। কার্তিকোটা, কার্ত্তিকবাটা, বাটা, পুটি, ছুরি, লইট্টা ও রূপবান প্রজাতির শিম চাষ হয়। রূপবান হলো গ্রীষ্মকালীন শিম। যা বিগত কয়েক বছর ধরে চাষ হচ্ছে। অন্য শিম শীত মৌসুমেই হয়ে থাকে।

উপজেলার অন্যতম শিম চাষ এলাকা সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, পৌরসদর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া পরিদর্শনকালে কথা হয় চাষিদের সঙ্গে। বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল গ্রামের কৃষক মো. জামাল উল্লাহ, মুকসেদ আহমদ, আনোয়ার হোসেন ও মানিকরা শিম চাষ করেন।

কৃষক জামাল উল্লাহ কার্ত্তিকোটা শিম চাষ করেছেন ১০০ শতাংশ জমিতে। এতে বীজ, সার, কীটনাশক, কঞ্চি, শ্রমিক মজুরি বাবদ খরচ হয় আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা। গত ১ মাসে তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরও লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এবার তেমন কোনো রোগবালাই হয়নি। সমস্যা দেখা গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পিপাস কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলে দেন, কী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তার কথামতো এসব ব্যবহার করে উপকৃত এবং লাভবান হয়েছি।’

৪২ শতক জমিতে কার্ত্তিকবাটা শিম চাষ করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। দেরিতে চাষ করেছি। তাই বিক্রি শুরু হয়েছে অল্প দিন আগে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আরও ৬০-৭০ হাজার টাকার বিক্রি হবে।’