ইলিশ রপ্তানি: প্রতিবেশী দেশগুলোয় ইলিশ রপ্তানি একটি বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়। দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদা পূরণের আগে রপ্তানি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ইলিশের অভাব দেখা দিচ্ছে।
অসাধু ব্যবসায়ী চক্র: অনেক ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে। তারা ইলিশ মজুত করে রাখেন এবং বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেন, যা দামের ওপর প্রভাব ফেলে।
ইলিশ আহরণ বৃদ্ধি: দাবি বনাম বাস্তবতা সরকারি প্রতিবেদনের বিপরীতে বাস্তবিক তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে ইলিশের স্বাভাবিক প্রজনন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। তাছাড়া নদীর দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা ইলিশের প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে সামগ্রিক ইলিশ আহরণে প্রকৃতপক্ষে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নেই।
ইলিশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং বাজারের সংকট নিরসনে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন:
ইলিশের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ: দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পরেই রপ্তানির অনুমতি দেওয়া উচিত।

ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষা: ইলিশের প্রজনন ও অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে নদীগুলোতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ: সরকারের উচিত বাজারে মজুত ও কৃত্রিম সংকটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। যেন সাধারণ মানুষ সহজে ইলিশ কিনতে পারেন।
ইলিশের সংকট এবং দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি দাবি অনুযায়ী ইলিশ আহরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বাজারে এর সঠিক প্রতিফলন নেই। এই অসংগতি দূর করতে নীতিনির্ধারকদের উচিত বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে দেশের সাধারণ মানুষও ইলিশের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।