
বিগত ৫ আগস্টের পূর্বে ছিলেন যুবলীগ নেতা। যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলার এজহারভূক্ত আসামিও তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর খোলস পাল্টে এখন তিনি হয়েছেন জিয়া মঞ্চের শীর্ষ পদধারী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা।
ঘটনাটি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার। ওই উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের মামুন মিয়া ছিলেন ৫ আগস্টের পূর্বে যুবলীগ নেতা। ৫ আগস্টের পর ডিগবাজি দিয়ে বর্তমানে তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিবের পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন।
জানা যায়, মামুন মিয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় তাকে দেখা যায় তার পাশে। অভিযোগ রয়েছে তিনি দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো.সাহেদ আহমদ ও সদস্য সচিব মো.মস্তাক আহমদ স্বাক্ষরিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখা জিয়া মঞ্চ কমিটি অনুমোদন দেন। ওই কমিটির সদস্য সচিব হলেন মামুন মিয়া। কমিটিতে মামুনকে সদস্য সচিব করার ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমৃল নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এছাড়া যুক্তরাজ্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুল মালেকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মামুনকে ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি উল্লেখ করে ৯৬ নম্বর আসামি করা হয়।
এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মামুন মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। হাবিব ভাই আমাদের অফিসে এসেছিলেন হয়তো ছবি উঠেছি। ছবি তো যে কেউ কারো সঙ্গে উঠতেই পারে। আমি যুবলীগের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ত নয় বা দায়িত্বে ছিলাম বলে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না।
এব্যাপারে সিলেট জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো.সাহেদ আহমদ বলেন, মামুনের অভিযোগগুলো আমার কাছেও এসেছিল। কিন্তু তদন্তের পূর্বে নিজের পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে গত মাসে সে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমিও পদত্যাগের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছি।
																			
																		
										
																প্রতিনিধি								 









