
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বলে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ জানান।
গত অগাস্টে সরকার পতনের পরপরই দেশ ছাড়েন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রথমে তিনি ভারতে যান এরপর সেখান থেকে লন্ডনে চলে যান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এই যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক । আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে গত কিছুদিনে বেশ কয়েকবার লন্ডনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। এছাড়া ফেসবুকেও সক্রিয় আছেন তিনি।
৫ আগস্টের পর কিভাবে যুক্তরাজ্যে গেলেন এ ব্যপারে গণমাধ্যমেও কথা বলেছেন।
এদিকে, দেশছাড়ার প্রায় একবছর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
নিষেধাজ্ঞার আদেশে নাম থাকা বাকিরা হলেন- সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সার্ভ কনট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক সারওয়াত সুলতানা মনামী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, এ আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. মঈনুদ্দিন,মো. নুরুল হাসনাত, বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার কৌশিক কান্তি পণ্ডিত।
তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এদিন আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত।
আবেদনে বলা হয়, “আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক সার্ভ কনট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ঋণের নামে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা তদন্তাধীন।
“এজাহারনামীয় ১৩ আসামি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এতে তদন্ত কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।”