০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৪ যুবকের মৃত্যু: পুরো এলাকায় শোকের মাতম

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৬:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • 0

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারালেন ৪ তরতাজা যুবক। নিহতরা সকলেই চা শ্রমিকের সন্তান এবং তাদের অকাল মৃত্যু এলাকায় গভীর শোকের সঞ্চার করেছে।

জানা যায়, বুধবার বিকালে ১৭ বছর বয়সী রানা নায়েক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের গর্তে পড়ে যাওয়ার পর সেটি তুলতে যান। বড় ভাই শ্রাবন নায়েক (১৯) ও দুই বন্ধু কৃষ্ণ রবিদাস (২০) এবং নিপেন ফুলমালি (২৭) তাকে উদ্ধার করতে গর্তে নামেন। তবে, গর্তের নিচে পৌঁছানোর পর রানা অচেতন হয়ে যান এবং উপরে উঠতে পারেননি।

বড় ভাই শ্রাবন প্রথমে মনে করেছিলেন যে রানা পড়ে গেছে বা অসুস্থ হয়ে গেছে, তাই তিনি তাকে উদ্ধার করতে নিচে নামেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারও একই পরিণতি ঘটে। এরপর কৃষ্ণ ও নিপেনও নিচে নামেন, কিন্তু কেউ ফিরে আসেননি। তাদের সবাই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে মারা যান।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় জনগণ, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা গভীর মনোকষ্টে রয়েছেন। এমন অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এ ঘটনার কারণে শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা শ্রমিক পরিবারগুলোতে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক যেন ভবিষ্যতে আর কোনো পরিবারকে এভাবে হারাতে না হয়।

Tag :

Leave a Reply

শ্রীমঙ্গলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৪ যুবকের মৃত্যু: পুরো এলাকায় শোকের মাতম

শ্রীমঙ্গলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৪ যুবকের মৃত্যু: পুরো এলাকায় শোকের মাতম

আপডেট সময়: ০৬:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারালেন ৪ তরতাজা যুবক। নিহতরা সকলেই চা শ্রমিকের সন্তান এবং তাদের অকাল মৃত্যু এলাকায় গভীর শোকের সঞ্চার করেছে।

জানা যায়, বুধবার বিকালে ১৭ বছর বয়সী রানা নায়েক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের গর্তে পড়ে যাওয়ার পর সেটি তুলতে যান। বড় ভাই শ্রাবন নায়েক (১৯) ও দুই বন্ধু কৃষ্ণ রবিদাস (২০) এবং নিপেন ফুলমালি (২৭) তাকে উদ্ধার করতে গর্তে নামেন। তবে, গর্তের নিচে পৌঁছানোর পর রানা অচেতন হয়ে যান এবং উপরে উঠতে পারেননি।

বড় ভাই শ্রাবন প্রথমে মনে করেছিলেন যে রানা পড়ে গেছে বা অসুস্থ হয়ে গেছে, তাই তিনি তাকে উদ্ধার করতে নিচে নামেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারও একই পরিণতি ঘটে। এরপর কৃষ্ণ ও নিপেনও নিচে নামেন, কিন্তু কেউ ফিরে আসেননি। তাদের সবাই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে মারা যান।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় জনগণ, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা গভীর মনোকষ্টে রয়েছেন। এমন অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এ ঘটনার কারণে শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা শ্রমিক পরিবারগুলোতে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক যেন ভবিষ্যতে আর কোনো পরিবারকে এভাবে হারাতে না হয়।