প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৪৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৩, ২০২৫, ৫:৩১ পি.এম
সিলেটে এক যুবদল নেতার কাছে “কুখ্যাত ডাকাত” ফুকনের চাঁদা দাবি
সিলেটে এক যুবদল নেতার কাছে কুখ্যাত ডাকাত কর্তৃক চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে বর্তমানে যুবদল নেতা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছেন। সেই সাথে ঐ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্টও করেছেন।
জানা যায়, মিড়াপাড়া নয়াবাড়ির মৃত ফকির তাহির আলীর ছেলে সিলেটের কুখ্যাত ডাকাত ফুকন ২০২০ সাল থেকে যুবদল সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সুমনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। ৭ আগষ্ট আবারও ডাকাত ফুকন সুমনের কাছে চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ডাকাত ফুকন সুমনের নামে বিভিন্ন জায়গায় ছবিসহ আজেবাজে লেখা বিলি শুরু করে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেন।
সুমনের ফেসবুকে দেয়া পোষ্টের হুবুহু দেয়া হল:- “কুখ্যাত ফুকন ডাকাত ২০২০ সাল থেকে আমার কাছে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবি করে আসছে। গত ০৭/০৮/২০২৫ তারিখ আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় আমার ছবি সহ আজেবাজে লেখা বিলি করতেছে আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছি” সুত্র জানায়, ফুকন এর আগেও ডাকাতি ও চুরির মামলায় জেল খেটেছে। সে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে আলোচিত সেনাবাহিনীর ওয়্যারলেস ডাকাতি মামলার আসামী ছিল। এ ঘটনায় ফুকন দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়। বর্তমানে তার পেশা বিভিন্ন লোকদের কাছে চাঁদা দাবি করে তা সংগ্রহ করা।
সুত্র জানায়, ফুকন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পলাতক আজাদুর রহমান আজাদের ভাই সোলেমানের আস্থাভাজন। গত ৫ আগষ্টের পর সোলেমান দেশ ছেড়ে কানাডা পালিয়ে যান।
ফুকনের এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফুকন দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হওয়ার পর ফের এলাকায় গরু ছাগল ও বাসা বাড়িতে চুরি শুরু করে। এর জন্য তাকে এলাকাবাসী চুরির ছাগলসহ আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। এরপর সে জেল খেটে বের হয়ে প্রতারনা ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি শুরু করে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা আত্বসাথের ঘটনা। শাপলাবাগ এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকে সে ব্যবসার কথা বলে টাকা নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কয়েকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ বিষয়ে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আমাদের কাছে এরখম অভিযোগ দেয়া হয় নাই। আমরা অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করর।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত