আগামী ১ সেপ্টেম্বরই বন্ধুদের নিয়ে সুন্দরবনে ভ্রমণে যাবেন খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবুল ইসলাম। এক সপ্তাহ আগে ট্যুরের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল খুলনার যে স্থান থেকে জাহাজ ছেড়ে
যাবে সেখানে এসেছিলেন দেখতে।
তিনি বলেন, এর আগে পরিবারের সাথে সুন্দরবনে ভ্রমণ করেছি। এবার যাচ্ছি বন্ধুদের সাথে। সুন্দরবন এমন একটা জায়গা যেখানে বারবার যেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে তিন মাস বন্ধ থাকার পর সুন্দরবন এক নুতন রূপ পায়। সেই আকর্ষণে প্রথমেই যাচ্ছি সুন্দরবন।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য বুকিং দিয়েছেন চাকরিজীবী সুলতান আহমেদ। তিনি পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মাত্রই একটি এজেন্সিতে বুকিং দিয়ে আসলাম। তিন বছর আগে অফিসের সহকর্মীদের নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। এবার স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছি। পরিবারের অন্য সদস্যদের এবার প্রথম ট্যুর। আশা করছি সময়টা ভালো কাটবে।
এদিকে সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে ট্যুর অপারেটররাও। তাদের জাহাজগুলো নতুন করে রং করা হয়েছে। শেষদিকে টুকিটাকি কাজও চলছে। খুলনার জেলখানা ঘাট থেকে ছোট বড় ৭০টির মতো জাহাজ সুন্দরবনে যায়।
ফেমাস ট্যুর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজীর হোসেন রুবেল বলেন, যে তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ ছিল এই সময়টাতে আমরা আমাদের জাহাজগুলো নতুন করে সংস্কার করেছি। এ বছর সুন্দরবন ভ্রমণ আরও বেশি
রোমাঞ্চকর হবে। বিশেষ করে প্রথম সময়টাতে প্রকৃতি অনেক বেশি সুন্দর থাকে। মেঘলা আবহাওয়া কিংবা হালকা বৃষ্টিতে অন্যরকম রূপ নেয় সুন্দরবনের প্রকৃতি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম ডেভিড বলেন, খুলনা থেকে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭০টিরও বেশি জাহাজ প্রস্তুত আছে। আমরা আশা করছি প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুন্দরবনপ্রেমী পর্যটকরা সুন্দরবরন ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গড়ে প্রতিবছর ২ লক্ষাধিক দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আসেন। এ খাতে বছরে গড়ে চার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে বন বিভাগ।